Bike maintenance on a long ride: Know what to do and what not to do
Dec 14, 2020

Pulsar 150 Twin Disc on a bridge

জুলফিকার আহমেদ সিয়াম, পালসার এনএস ১৬০ ইউজার। এনএস বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করার পর থেকেই পালসার বাংলাদেশের সাথে আছেন তিনি। কিছুদিন আগে, অক্টোবর ২১ থেকে ২৯ শে অক্টোবর পর্যন্ত চিটাগং বিভাগ পুরোটা বাইকে ঘুরে এসেছেন তিনি। পুরো রাইডে ২,০০০ কিলো বাইকে কাভার করতে হয়েছে। এমনিতে এনএস ইউজার হলেও এই রাইডে তিনি পালসার ১৫০ টুইন ডিস্কটা ব্যবহার করেছেন।  

কথা হচ্ছিলো সিয়ামের সাথে, লং রাইডে যাওয়ার আগে বাইকের কেমন মেইন্টেইনেন্স করিয়ে নেওয়া উচিত এ ব্যাপারে। 

প্রশ্নঃ পাহাড়ি রাস্তার লং রাইডে যাওয়ার আগে কী কী সার্ভিসিং করানো উচিত? 

উত্তরঃ বাইকের কন্ডিশনের উপর। আমি পালসার ১৫০ টুইন ডিস্ক নতুন বাইকটা ব্যবহার করেছিলাম, তাই সার্ভিসিং এর প্রয়োজন হয়নি। তবে আমি সাজেস্ট করবো রাইডে যাওয়ার আগে ফুল সার্ভিসিং করিয়ে নেওয়ার। 

প্রশ্নঃ যেমন? 
উত্তরঃ যেমন হেডলাইট ঠিক আছে কী না, নাটবল্টু ঢিল কী না। ফগ লাইট কাজ করে কী না। ইন্ডিকেটর লাইট কার্যকর কী না। 

প্রশ্নঃ ব্রেকের ব্যাপারে? 
উত্তরঃ হ্যাঁ, ব্রেক ঠিক আছে কী না, ক্লাচ ঠিকমতো করছে কী না। ব্রেক শ্যু ঠিক আছে কী না। এগুলো। ব্রেক শ্যু, ব্রেক প্যাড এগুলো চেন করে নেওয়া উচিত। 
সার্ভিসিং করিয়ে একদিন/দু'দিন রেগুলার রাস্তায় চালিয়ে দেখা উচিত, আসলে সবকিছু ঠিকঠাক আছে কী না। তারপর রাইডে যান। 

প্রশ্নঃ একটানা রাইডিং এ বাইকের ইঞ্জিন ওভারহিটের কোনো প্রব্লেম আছে কী না? 
উত্তরঃ এই ট্যুরে পালসার ১৫০ টুইন ডিস্কে এমন কোনো সমস্যা আমি ফেইস করিনি। তবে অনেকে ইঞ্জিন গার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে গিয়ে, বা কাঁদা থেকে বাঁচাতে গিয়ে প্লাস্টিকের কিছু গার্ড ব্যবহার করেন। এতে এয়ার কুলিং এ বাধা পায় ইঞ্জিন। এটা না করাই ভালো। 

প্রশ্নঃ এমন লং ট্যুরে ব্যাটারি জনিত কোনো সমস্যা ফেইস করতে হতে পারে? 
উত্তরঃ হতে পারে, পাহাড়ি রাস্তা তো, বেশি পাওয়ারের দরকার। তাই ব্যাটারি ফুল চার্জ করিয়ে নেওয়া উচিত রাইডে যাওয়ার আগে। তবে আমি পালসার ১৫০ টুইন ডিস্কে ব্যাটারির কোনো সমস্যা ফেইস করিনি এই ট্যুরে। 

প্রশ্নঃ মোবিল ক্যারি করা উচিত? 
উত্তরঃ হ্যাঁ, ক্যারি করা ভালো। হঠাৎ প্রয়োজন পড়ে গেলে কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না আপনার। কতটুকু মোবিল রাখবেন তা কত কিলো রাইড দিচ্ছেন তার উপরে নির্ভর করে, তবে অন্তত এক বোতল এক্সট্রা সাথে রাখা ভালো। রেকমেন্ডেড ইঞ্জিন অয়েল API JASOMA2 20W50 টা ব্যবহার করা উচিত। প্রতি ১০০০-১৫০০ কিমিতে মোবিল চেঞ্জ করতে হবে, অথোরাইজড বাজাজ অটোমোবাইল আউটলেট থেকে। 


প্রশ্নঃ এয়ার ফিল্টার, অয়েল ফিল্টার এগুলোও চেঞ্জ করে নিতে হবে? 
উত্তরঃ এয়ার ফিল্টার খুললেই বোঝা যাবে যে চেঞ্জ করা উচিত না পরিষ্কার করলেই হবে। ময়লা কম থাকলে পরিষ্কার করে নিলেই হবে। আর বেশি ময়লা হয়ে গেলে চেঞ্জ করে নেওয়াই ভালো। 
অয়েল ফিল্টার প্রতিবার ইঞ্জিন অয়েল চেঞ্জ করার সাথে চেঞ্জ করে নেওয়া ভালো। 

প্রশ্নঃ ব্রেক ফ্লুইড চেঞ্জ করতে হবে?
উত্তরঃ খুব ঘণঘণ না, ১০,০০০ কিলোর মাঝে চেঞ্জ করলেই হয়। সার্ভিসিং এর সময় চেক করিয়ে নেওয়া ভালো। 

প্রশ্নঃ আর কিছু যোগ করতে চান লং ড্রাইভে বের হবার আগে বাইক মেইন্টেইনেন্সের ব্যাপারে? 
উত্তরঃ ইঞ্জিন অয়েল লেভেল চেক করতে হবে প্রতিবার রাইডের আগে, যেন মিনিমাম আর ম্যাক্সিমাম লেভেলের মাঝামাঝি থাকে। টায়ার প্রেশার চেক করে নিতে হবে। পেছনের ব্রেক, সামনের ব্রেক, ক্লাচ লেভার অ্যাডজাস্ট করে নিতে হবে। 

সর্বোপরি, আমি এই রাইডে ১৫০ টুইন ডিস্কের নতুন একটা বাইক ব্যবহার করেছি তো, তেমন কোনো সার্ভিস আসলে আমার লাগেনি। 

তবে আপনারা অন্য যে বাইকই হোক, এমন রাইডে যাবার আগে উপরের বিষয়গুলো চেক করে, সার্ভিসিং করিয়ে রাইডে যাবার চেষ্টা করবেন।  

ম্যাপ দেখে সার্ভিস সেন্টারের অবস্থান জেনে রাখবেন, যেন কোনো সমস্যায় তাড়াতাড়ি সার্ভিস পেতে পারেন। আর সাথে নিজের একটা ছোটো টুলবক্স ক্যারি করতে পারেন। যেন হুট করে কোনো সমস্যা হয়ে গেলে অন্তত নিকটস্থ সার্ভিস সেন্টারে যাবার ব্যবস্থা নিজেই করতে পারেন।